মুর্শিদাবাদে CAA-NRC বিরোধী আন্দোলনে ট্রেনে-বাসে আগুন লাগিয়েছিল এই সব জঙ্গিরা, জেরায় মিলল নয়া তথ্য

উল্লেখ্য, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলাম ও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ১১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান এনআইএ’র তদন্তকারীরা। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ জন ও কেরল থেকে তিনজন আল কায়দা জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অতর্কিতে ‘লোন উলফ্’ হামলা চালানোর ছক কষছিল জঙ্গিরা। কিন্তু, তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ধৃতদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির উপাদান, দেশীয় পিস্তল, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস, জেহাদি কাগজপত্র-সহ অনেক জিনিস উদ্ধার হয়।
আল কায়দা নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপ চালাতে যে আর্থিক মদত দিত রাজ্যের জঙ্গিদের তা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ ঘুরে কেরল ও মুর্শিদাবাদের জঙ্গি নেতাদের হাতে পৌঁছত। তারই সূত্র ধরে সন্ধান চলছে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কয়েকটি হাওয়ালা চক্রের। এই আর্থিক মদতের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হাত রয়েছে বলে অনেকটাই নিশ্চিত গোয়েন্দারা। সোমবার তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পাকিস্তান যোগ যেন আরও স্পষ্ট হল। কারণ, ধৃতদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুধু পাকিস্তানের স্তুতি। এছাড়াও ধৃতদের মোবাইল এবং ল্যাপটপে পাকিস্তান থেকে নজর রাখা হত। এনআইয়ের হাতে যে ৯ জন আল কায়দার সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে চারজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কয়েক লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।
CAA-NRC-এর বিরোধিতা করতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের লালগোলা, বেলডাঙ্গা, সারগাছি, রেজিনগর-এ চলেছে ট্রেন পোড়ানো, বাস পোড়ানো, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা। এই সব কিছুর মুলেই ছিল এই সব জঙ্গিরা। আর তাদের অনুসরন করে ঐ সব এলাকার মুসলিম রা চালিয়েছে দাঙ্গা, পুলিশ স্টেশন করেছে ভাংচুর, এমন কি পুলিশ দের কেও মারধরের ছবি এসেছিল সামনে। মুর্শিদাবাদের লালগোলা, বেলডাঙ্গা, সারগাছি, রেজিনগর এখন জঙ্গি ঘাঁটি তে পরিনত হয়েছে। তারা যদি সত্যি দেশ কে ভালোবাসতো এই দেশকেই যদি তারা নিজের বাড়ি মনে করতো তাহলে তারা কোন দিনই এভাবে ধ্বংসলীলা চালাতে পারতো না, কারন কেওই নিজের বাড়িতে আগুন লাগায় না। এই সব জঙ্গিদের খুব শীঘ্রই কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
এ বিষয়ে আপনাদের মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান
Click Here👇👇