ত্রিপুরাকাণ্ডের প্রতিবাদে সংসদে ধরনা তৃণমূলের

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার উত্তাপ এবার রাজধানীতে। আগরতলায় তৃণমূলের যুব নেতাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা তৃণমূল সাংসদদের। গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে চলে বিক্ষোভ। সোমবার সংসদ ভবনের পাদদেশে এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি চালান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার সহ তৃণমূলের সাংসদরা। মোদী-শাহকে কটাক্ষ করে দীর্ঘক্ষণ চলে স্লোগানিং। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে চলে বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, শনিবার আগরতলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন যুব নেতা , জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা সহ ১১ জন। যা নিয়ে রবিবার সারাদিনই তপ্ত ছিল ত্রিপুরা। সোমবার ঘটনার আঁচ পৌঁছেছে দিল্লিতেও। এদিকে কলকাতাতেও জোর চর্চা চলছে এ নিয়ে। এ দিনই SSKM হাসপাতালে জয়া ও সুদীপকে দেখতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, 'অমিত শাহের নির্দেশে ত্রিপুরায় ওই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বিপ্লব দেবের এত সাহস হত না। ত্রিপুরায় দানবীয় শাসন চলছে। আগেও অসমে আমাদের প্রতিনিধি দলকে আটকে দেওয়া হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে আটকে দেওয়া হয়েছিল। থানায় জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি যুব নেতাদের'। যুব নেতাদের উদ্ধার করতে রবিবার ত্রিপুরায় পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক Abhishek Banerjee। সেই প্রসঙ্গ টেনে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অভিষেক যে বিমানে যাবে, সেই বিমানের পাশের চার-পাঁচটি সিট বুক করে গুন্ডা বসিয়ে রাখা হয়েছিল! তাঁর জীবন বিপন্ন হয়েছে'। অভিষেকের বিগত সপ্তাহের সফরের বিষয়টি টেনে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, 'আগের দিন বুলেট প্রুফ গাড়ি না হলে মাথা চুরমার হয়ে যেত। সুদীপ-জয়াদের উপর এই আক্রমণে যুব সম্প্রদায় গর্জে উঠবে। ত্রিপুরা জয় করব আমরা'। অর্থাৎ ত্রিপুরাকাণ্ড নিয়ে TMC বনাম BJP দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে। ঠিক কী হয়েছিল? Tripura Police এর দাবি ছিল, মহামারী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইন সহ একাধিক আইনভঙ্গের কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবাংশুদের। যদিও তৃণমূল আঙুল তুলেছে পুলিশের দিকেই। এ দিন সংবাদ মাধ্যমের সামনেই জানান, রবিবার রাতে পুলিশ সুপার ফোন করে জানিয়েছিলেন আইনভঙ্গ হয়নি। সেই ফোনের রেকর্ড দেখিয়ে এ দিন সওয়াল তোলেন তিনি। বেশ কয়েকঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে TMC শীর্ষ নেতৃত্বের বচসার পর আদালতে পেশ করা হয় দেবাংশু, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের। আইনি প্রক্রিয়া শুরুর সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষরা। এ দিকে থানায় ধরনায় বসেছিলেন অভিষেক। পরে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে আদালত। অভিষেকের কথায়, ‘এর শেষ থেকে ছাড়ব। BJP-কে এক ছটাক জমি ছাড়ব না'।


from National News in Bengali, জাতীয় খবর, India News in Bangla, Headlines of India - Eisamay https://ift.tt/2VBBfB6
https://ift.tt/3lGCUA1
close