ইসলাম কে নিয়ে খিল্লি করে কার্টুন তৈরি শুরু করল ফ্রান্স।

 
Bengali News:  সাড়ে পাঁচ বছর আগের সে রক্তাক্ত দিনটি ভোলার নয়। ভুলতে চান-ও না ওঁরা। সে কারণেই মঙ্গলবার ফরাসি ব্যঙ্গচিত্র পত্রিকা 'শার্লি এবদো'-র ঘোষণা, হজরত মহম্মদের বিতর্কিত কার্টুন ফের ছাপবে তারা। এই বিতর্কিত কার্টুনের জেরে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে চরমপন্থী ইসলামি বন্দুকবাজদের হানা চলেছিল প্যারিসে শার্লি এবদো-র দপ্তরে। মারা গিয়েছিলেন ফ্রান্সের বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট-সহ ১২ জন। আজ, বুধবার সেই হামলায় জড়িত অভিযোগে ১৪ জনের শুনানি শুরু হতে চলেছে। তার ঠিক আগের দিনই এহেন ঘোষণা ওই ফরাসি পত্রিকার।



ফের এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কেন? পত্রিকার নতুনতম সংস্করণের সম্পাদকীয়তেই এর কারণ ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন শার্লি এবদো-র ডিরেক্টর লরাঁ সুরিসো। স্পষ্ট ভাষায় লেখা, 'আমরা মাথা নোয়াবো না। আমরা হাল ছাড়ব না।' সঙ্গে প্রথম পাতার শিরোনাম, 'অল অফ দিস, জাস্ট ফর দ্যাট।' পত্রিকার সম্পাদকীয় গোষ্ঠীর মতে, এটিই ওই কার্টুন পুনর্মুদ্রণের উপযুক্ত সময়। তাদের মতে, ২০১৫ সালের ওই ভয়ঙ্কর হামলার পর কিছু পর থেকেই ফের হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের আর্জি জমা পড়তে থাকে পত্রিকার দপ্তরে। কিন্তু তখন রাজি হননি তাঁরা। শার্লি এবদো-র সম্পাদকীয় গোষ্ঠীর বক্তব্য, 'আমরা সে সময় এমন সমস্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। তার কারণ অবশ্য এটা ছিল না যে, বিষয়টি নিষিদ্ধ। আসলে আমরা এমন অর্থপূর্ণ উপলক্ষের অপেক্ষায় ছিলাম যার উপর ভিত্তি করে ফের শুরু করা যায় বিষয়টি। এমন কিছু যা নতুন আলোচনা-পর্যালোচনার পরিসর তৈরি করবে।' ২০০৬ সালে ওই পত্রিকায় প্রকাশিত বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্রগুলিই নতুনতম সংস্করণে ফের ছাপা হয়েছে।



উল্লেখ্য, পত্রিকাটির দপ্তরে যে দু'জন হামলা চালিয়েছিল, সেই সৈয়দ ও শেরিফ কুয়াচ্চির পুলিশের গুলিতে আগেই মৃত্যু হয়। তার পরও ইহুদিদের এক স্থানীয় সুপারমার্কেটে হামলা চালায় ওই দু'জনের সহযোগী ইসলামি চরমপন্থীরা। সেই হামলায় জড়িত থাকার পাশাপাশি শার্লি এবদোয় হামলাকারীদের অস্ত্র জোগান দেওয়া, আইএস-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগে ধৃত ১৪ জনের শুনানি শুরু হচ্ছে আজ। এর মধ্যে তিন জনকে অনুপস্থিত বা মৃত ধরে নিয়েই শুনানি চলবে।



কিন্তু সে পর্ব মেটার আগেই পত্রিকাটির এহেন ঘোষণা তাদেরই বিতর্কে ফেলবে না তো? কারণ সাড়ে পাঁচ বছর আগের সে গভীর শোকের সময়ও অনেকে খেদ প্রকাশ করে বলেছিলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় যাতে অন্যের ভাবাবেগে আঘাত না লাগে, সে বিষয়টি বহু বার ভুলে গিয়েছে শার্লি এবদো।




Share Now On Facebook
Click Here👇👇
close