ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট স্কুল শিক্ষকের। চাকরী থেকে বরখাস্ত হতে পারেন শিক্ষক

ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট স্কুল শিক্ষকের। চাকরী থেকে বরখাস্ত হতে পারেন শিক্ষক



পশ্চিমবঙ্গে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করা যেন এক সাধারণ ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। কয়েক দিন আগে এক ছেলে প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে আপত্তিকর ছবি বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে ও তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার কিছু দিন পর আবার এক মুর্শিদাবাদের মুসলিম ছেলে ফেসবুকে হিন্দু মহিলাদের নিয়ে কুরুচি কর মন্তব্য করে। খবর টা চারিদিকে ছড়িয়ে পরতেই পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেন। এরকম আরও ঘটনা নিত্য দিন ঘটে চলছে পশ্চিমবঙ্গে।

কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে আপত্তি কর পোস্ট করে বসে পশ্চিমবঙ্গের এক যুবক। কিন্তু এবার বিষয়টা একটু আলাদা, এবার বিতর্কিত পোস্টটি করে স্কুলের এক শিক্ষক। নাম :- "প্রদীপ মণ্ডল"। তিনি পশ্চিমবঙ্গের "বালুরঘাটের" বাসিন্দা। জানা গিয়েছে তিনি "দৌলতপুর হাই স্কুল" এর একজন শিক্ষক।



একজন শিক্ষক হয়ে এরকমের ভাবনা চিন্তা টা সত্যিই অস্বাভাবিক। শিক্ষকের কাজ হল ছাত্রদের সঠিক পথে পরিচালনা করা, ছাত্রকে সঠিক বোধ বুদ্ধি দিয়ে বড় করে তোলা, এবং ছাত্রদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি গড়ে তুলে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে তোলা। একজন শিক্ষক সব সময় হয়ে থাকেন নম্র ভদ্র। পরবর্তী প্রজন্ম তাদের হাতেই তৈরির দায়িত্ব থাকেন। কিন্তু শিক্ষকের নামে কলঙ্ক সৃষ্টি করলেন "প্রদীপ মণ্ডল"। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি সমাজে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে চলছেন দীর্ঘ দিন ধরে, সেটা তার ফেসবুক প্রোফাইল দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন উঠছে, তার চিন্তা ধারা যদি এতটায় নিম্ন মানের হয় তাহলে তিনি তার ছাত্রদের কে কেমন শিক্ষায় শিক্ষিত করছেন??

তার বিতর্কিত পোস্ট দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। তাকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করারও দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।

কিন্তু প্রশ্ন এখনো থেকে যাচ্ছে তিনি কি আদোও তার যোগ্যতায় চাকরী টা পেয়েছেন, নাকি শাসক দলের কর্মী বলে সেই সুবিধাতে চাকরী টা পেয়েছেন?? 

আমাদের প্রতিবেদন টি প্রচুর পরিমানে শেয়ার করুন যাতে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।

Share Now On Facebook
Click Here👇👇
close