৫ই আগস্ট লকডাউন রাখার কারনে ২০২১ এ ১০০% হারবে তৃণমূল। বলছে বিশেষজ্ঞরা

 ৫ই আগস্ট লকডাউন রাখার কারনে ২০২১ এ ১০০% হারবে তৃণমূল। বলছে বিশেষজ্ঞরা


অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি শুরু। তার জন্য ভুমি পুজনের আয়োজন। সে জন্য গোটা দেশ জুড়ে উৎসবের মেজাজ। ৫০০ বছর ধরে রাম এর জন্মভুমি কে কবজা করে রেখেছিল কখনো মুঘলরা, কখনো সুলতানিরা, কখনো বা ইংরেজরা। পরবর্তী তে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কংগ্রেস এটি কে নিয়ে রাজনীতি করে গিয়েছে। রাম মন্দিরের ইসু জমিয়ে রেখে রাজনীতি করে গিয়েছে শুধু মাত্র মুসলিমদের ভোট পাওয়ার জন্য।

কিন্তু ৫০০ বছর আগে মুসলিম শাসন যেখানে রাম মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিল সেখানেই পুনরায় রাম মন্দির তৈরি করায় ছিল বিজেপির মুল উদ্দেশ্য। এবং গোটা ভারতবাসী চাইছিল সেখানেই  রাম মন্দির হোক। আর সেটা যে বিজেপি করে দেখাবে সেটা বিজেপি তাদের নির্বাচনী বক্তিতায় বহু বার প্রকাশ করেছিল, মনের কথা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু কংগ্রেস, তৃণমূল-কংগ্রেস, সিপিএম বলেছিল শুধু মাত্র ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি রাম মন্দির - রাম মন্দির করে, বিজেপি কোন দিনও রাম মন্দির বানাবে না। তারা মানুষ কে বোকা বানাচ্ছে।



কিন্তু মোদীর শাসনে রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু, ভুমি পূজন শুরু। আর এই নিয়ে ছিল গোটা দেশে উৎসবের মেজাজ। কিন্তু সে দিনই বাংলায় লকডাউন। যেখানে গোটা হিন্দু ধর্মের মানুষ দের কাছে সে দিন টি খুবই গর্বের ও আনন্দের সেখানেই বাংলায় লকডাউন। অথচ ঈদে কোন লকডাউন নেই। এই নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে মমতা ব্যানার্জির কাছে বার বার আবেদন করা হয় যে লকডাউনের দিন টি প্রতাহার করুন। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি লকডাউনের দিন টি প্রতাহার করেনি।

সেই দিন মন্দিরে মন্দিরে পূজা করতে বাঁধা দেই তৃণমূল। মারধর করা হয় হাজার হাজার হিন্দু দের। পুলিশ রা বাড়িতে ঢুকে মহিলা দের বেধরক মার ধর করে শুধু মাত্র বাড়িতে তারা রামের পূজা করছিল সেই অপরাধে। আর এই ভিডিও ঝরের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া তে।



ফলে গোটা বাংলা জুড়ে এক বিশাল অসন্তোষ এর সৃষ্টি হয়। সেই অসন্তোষ এর আগুন এবার নির্বাচনী ফলাফলে গিয়ে পরবে। এবার রাজ্যে হিন্দু মুসলিম ভোট ভাগ হয়ে যাবে। আর তার ফলে কপাল পুরছে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের। সাধারণ মানুষের কাছে এটা স্পষ্ট যে হিন্দু দের যে গর্বের বিষয় রাম। সেই রামের ভুমি পুজনের দিন, মন্দির তৈরি হবে সেই ভুমি পুজনের দিন মমতা ব্যানার্জি লকডাউন রেখেছে। রামের পূজা করায় মারধর করেছে তৃনমূলের পুলিশ সহ গুন্ডা বাহিনী। এর অর্থ হল মমতা ব্যানার্জি হিন্দু বিরোধী। আর এই কথা টি প্রচার হয়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। ফলে অনেক হিন্দু রা যারা তৃনমূলের সাপোর্টার রয়েছে তারাও ধিরে ধিরে বিজেপি ঘেঁষা হয়ে উঠছে।

ফলে তৃণমূল কংগ্রেস ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে মমতা ব্যানার্জি মাত্র ১০ লোকসভা কেন্দ্রে জেতার মতো ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ মাত্র ১০ টি আসনে তিনি লড়ায় করার মতো জায়গাই থাকবেন। বাদবাকি ৩২ টি আসনেই বিজেপি এখন থেকেই জিতে গেছে।



বারবার শুনে রাখুন, তৃণমূল রাম এর ভুমি পুজনের দিন লকডাউন রেখে বিশাল বড় ভুল করে ফেলেছেন। যার ফলে মাত্র ১০ টি লোকসভা আসনের মধ্যে যত গুলি বিধানসভা রয়েছে সেখানেই শুধু লড়ায় করতে পারবে। বাদবাকি ৩২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে যত গুলি বিধান সভা আসন রয়েছে সেখানের কোন জায়গাতেই ভালো অবস্থায় নেই তৃণমূল-কংগ্রেস।

জেনে নিন কোন ১০ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে যেখানে তৃণমূল-কংগ্রেস লড়ায় করার ক্ষমতা রাখে। আর এই ১০ টি লোকসভা আসনে মুসলিম ভোট রয়েছে, আর একমাত্র মুসলিম ভোটই এই ১০ টি আসনে জেতাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস কে। আর বাদবাকি ৩২ টি লোকসভা কেন্দ্রে হিন্দু সংখ্যা বেশি, সে জন্য সেখান কার মানুষেরা মমতার বিরুদ্ধে ভোট দেবে। একমাত্র রাম এর ভুমি পুজনের দিন লকডাউন রাখার কারনে তৃনমূলের এতো বড় সর্বনাশ হচ্ছে। তো জেনে নিন কোন ১০ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে যেখানে তৃণমূল-কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।



মুর্শিদাবাদ। এখানে ৬৬% মুসলিম ভোট রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এখানে ৩৫% মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে ২৫ % মুসলিম লোক রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
মালদা। এখানে ৫১% মুসলিম ভোট রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
বর্ধমান।  এখানে ২০% মুসলিম রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর। এখানে ৪৯% মুসলিম ভোট রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
নদিয়া। এখানে ২৬% মুসলিম রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
বীরভূম। এখানে ৩৭% মুসলিম রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
হাওড়া। এখানে মুসলিম রয়েছে ২৬%। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।
কোচবিহার। এখানে রয়েছে ২৫%। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে। এবং
দক্ষিণ দিনাজপুর। এখানে ২৪% মুসলিম ভোটার রয়েছে। ফলে এখানে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে।

এই ১০ টি লোকসভা কেন্দ্রেই লড়ায় করার মতো জায়গায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ সিপিএম ও কংগ্রেস এর। বাদবাকি ৩২ টি লোকসভা কন্দ্রের কোন আসনেই টিকে থাকার মতো ক্ষমতায় নেই তৃনমুল কংগ্রেস সহ অন্য কোন দলের। কারন সকলেই ভুঝে গিয়েছে যে তৃনমুল, সিপিএম, কংগ্রেস রা শুধু ভোটের রাজনীতি করে। মুসুলমান ভোট নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে বিজেপি যেটা বলে সেটাই করে দেখায়। বিজেপি অন্য দের মতো ভোট পাওয়ার জন্য মুসুলমান দের তেলিয়ে চলেনা।



মুর্শিদাবাদ ও মালদা বাদে বাকি ৮ টি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী রা ভালো ভাবে খাটলে এখানেও ব্বিজেপি বাজিমাত করে যেতে পারে। কারন এখানেও মুসলিম ভোটের সংখ্যা খুবই কম। আর মুর্শিদাবাদ ও মালদা বাসি রা আপনারা আপনাদের জেলায় মুসলিম দের সংখ্যা তা দেখলেন, এখনো সময় আছে কট্টর হিন্দুবাদী হয়ে উঠুন। মুসলিম দের তেলিয়ে চলা বন্ধ করুন। নইলে পরবর্তী কালে আপনাদের অবস্থা কাশ্মীরের পণ্ডিতদের মতো হয়ে। এখন বুঝতে পারছেন না, কাশ্মীরি পণ্ডিত রাও তখন বুঝতে পারেনি। তাই বলছি সময় আছে সতর্ক হন। মুসলিম রা মীরজাফরের বংশধর, ওরা সুযোগ পেলে পেছন থেকে ছুরি মারতে ছারবে না।

২০২১ এ বিজেপি আসছে এই খুশিতে বিজেপির সমর্থক রা আমাদের কমেন্ট বক্সে জয় শ্রী রাম কমেন্ট করুন। দেখা যাক আমাদের পাঠক দের মধ্যে কতো জন বিজেপি সমর্থক।
Share Now On Facebook
Click Here👇👇
close